CH Ad (Clicksor)

Wednesday, November 12, 2014

জন্ম নিয়ন্ত্রন - পিল



জন্ম নিয়ন্ত্রন - পিল




পিল কে অনেকে ওরাল কন্ট্রাসেপশন বলে থাকে। সোজা কথায় পিল হচ্ছে তাই যা গ্রহণের মাধ্যমে জন্ম নিয়ন্ত্রন করা হয়।

বিভিন্ন ধরণের পিল আছে। একধরনের পিল সারা মাস খেতে হয়। এসব পিল জরায়ু থেকে ডিম্বক বের হওয়া নিয়ন্ত্রন করে থাকে। এছাড়াও এগুলো সারভিকাল মিউকাসকে ঘন করে, যে কারনে স্পার্ম ডিমের কাছে পৌছতে পারে না। এভাবে এটি কনসিভ করা থেকে প্রতিরোধ করে।






আরেক ধরনের পিল আছে, যেটা সেক্স করার ৭২ ঘন্টার মাঝে গ্রহন করে জন্ম নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। এগুলোকে ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন বলে। এগুলো আনপ্রোটেক্টেড সেক্সের ৩দিন পর্যন্ত কার্যকর হলেও যত তাড়াতাড়ি গ্রহন করা হয় এর কার্যকারীতার হার ততই সুনিশ্চিত হয়।



মাসিক পিল:





এটি দুই ধরনের হয়ে থাকে।

১. কম্বিনেশনঃ এগুলো সাধারনত estrogen/progestin কম্বিনেশন যা সারা মাস ধরে গ্রহণ করা হয়। এগুলো অভুলেশন (ovulation) প্রতিরোধ করে। মাসের তিন সপ্তাহের জন্য হরমন বেসড পিল থাকে এই প্যাকে। আর পিরিয়ডের সময় গ্রহনের জন্য প্লেসবো(placebo) জাতীয় পিল থাকে।





২. প্রজেস্টিনঃ এগুলোতে এস্ট্রোজেন থাকে না। এগুলো মিনি পিল বলে পরিচিত। যাদের এস্ট্রোজেনে এলার্জি থাকে তারা এগুলো ব্যাবহার করতে পারে। এগুলো মাসের প্রতিদিন সামান্য প্রজেস্টিন ছাড়ে। এছাড়া একটি নির্দিষ্ট সময় পিরিয়ড হয় না এই পিল গ্রহন করলে।


কিছু ব্যাপার লক্ষ্য রাখুনঃ

 - প্রতিদিন নিয়মিত পিল গ্রহণ করতে হবে। তাই দৈনন্দিন কোন কাজের সময়, যেমন সকালে দাত ব্রাশ বা নাস্তার সময় পিল গ্রহন করতে পারেন প্রতিদিন।
 - কিছু পিল পিরিয়ড নিয়ন্ত্রন করে। তাই পিরিয়ডের কারনে সেক্সে কোন ব্যাঘাত ঘটে না।
 - এছাড়া পিল গ্রহণে পিরিয়ড মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় আপনার পছন্দ মত আনতে পারেন। এতে যেকোন দিনের দিকে চেয়ে থাকতে হয় না।
 - পিল গ্রহন বন্ধ করে দিলেই কয়েক দিনের মাঝেই আপনি আবার কন্সিভ করতে পারবেন। তাই পিল গ্রহন ছেড়ে দিলে অন্য কোন মেথড বেছে নিন প্রেগ্ন্যান্সি অ্যাভয়েড করতে।



ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন পিল (EC):





এগুলো সাধারনত একটি পিলের প্যাক থাকে। আনপ্রোটেক্টেড সেক্সের ৫ দিন পর্যন্ত এগুলো গ্রহন করে জন্ম নিয়ন্ত্রন সম্ভব। তবে ৭২ ঘন্টার মাঝে গ্রহণ করলেই সবচেয়ে বেশি সুফল পাওয়া যায়। এছাড়া Copper-T IUD ও একধরণের ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন যা সবচেয়ে কার্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এটি ডাক্তারের কাছে গিয়ে লাগাতে হয়, আনপ্রোটেক্টেড ইন্টারকোর্সের ৫দিনের মধ্যে।



বিভিন্ন সিচুয়েশনে EC গ্রহনের প্রয়জনীয়তা পরতে পারে। ড্রাঙ্ক অবস্থায় সেক্স করলে, সেক্স করার মাঝে কনডম ভেঙ্গে গেলে, বা সাধারন পিল নিতে ভুলে গেলে EC বেশ কাজে দেয়। ঠিক সময় পুল আউট না করলেও এটির দরকার পরে। এছাড়া ভয়ঙ্কর কিছু অবস্থায়, যেমন রেইপের ক্ষেত্রে EC বিপদ কিছুটা হলেও কমাতে পারে। ৭২ ঘন্টা বলা হলেও ২৪ ঘন্টার মাঝে এটি গ্রহন করাই সবচেয়ে নিরাপদ।



কিছু জিনিস লক্ষ্য রাখুনঃ

 - এই পিলগুলো কোন ভাবেই অ্যাবরশন ঘটায় না।
 - এগুলো স্পার্ম ট্রান্সপোর্টে বাধা দেয়, অর্থাৎ স্পার্মকে ডিম পর্যন্ত পৌছাতে দেয় না। নয়তো ওভুলাশনে বাধা দেয়। বা স্পার্ম দিয়ে ডিম পরিপক্ক করাকে বাধা দেয়।
 - এই পিল কখনোই ১০০% প্রেগনেন্সি প্রতিরোধের নিশ্চয়তা দেয় না, কেননা ৫ দিন পর্যন্তও স্পার্মে মেয়েদের শরীরে বেচে থাকতে পারে, বা ২৪ ঘন্টার আগেও তা কাজ করতে পারে। তাই রিস্কি সেক্স না করাই ভাল।


বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন পিলের মাঝে ইমকন নামের একটা পিল আছে। আই পিল, আনওয়ান্টেড সেভেন্টিটু, প্ল্যান বি এসব নামে পিল পাওয়া যায়। যে কোন ওষুধের দোকান/ফার্মাসি থেকে এসব পিল পেতে পারেন। বিভিন্ন কম্পানির রেগুলার পিলও সব ওষুধের দোকানেই পাওয়া যায়। এসব পিল খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন হয়। তাই প্যাকের গায়ে ইনস্ট্রাকশন মত ওষুধ গ্রহন করে ফল পাবেন।








কেমন লাগলো দু-একটা শব্দ হলেও প্লিজ লিখে জানান। আপনাদের মহামূল্যবান মন্তব্যই আমার লেখা শেয়ার করার মূল উদ্দেশ্য। 




মূল ইনডেক্স এ যেতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
click here


হোমপেজ এ যেতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ

No comments:

Post a Comment